পুজোর দিনগুলোয় অনিয়ম কিছু হবেই, নিয়মগুলি মেনে চলুন
পুজোর দিনগুলোয় অনিয়ম হবেই। রাত জেগে ঠাকুর দেখা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা, ভিড়ের গুঁতো সামলানো—এ সব লেগেই থাকে। দু’চারদিনের এই অনিয়মের ঠেলা সামলাতে হয় পুজোর পরে। দশমী বা একাদশীর দিন ঘুম ভাঙার পরেও ক্লান্তি কাটতে চায় না। সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব। এর সঙ্গে হজমের সমস্যা বা হাতে-পায়ে ব্যথা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এমন অবস্থা যাতে না হয়, তাই পুজোর দিনগুলোয় মেনে চলুন তিনটি নিয়ম।
খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন: অত্যাধিক তেল–চর্বিযুক্ত খাবার খেলে বা অসময়ে ভরপেট খাওয়ার ফলে পেটে সমস্যা হতে পারে। এর জেরে শরীর খারাপ লাগা বা একটু হাঁটা চলার পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়াও অস্বাভাবিক নয়। তাই পুজোর দিনগুলোয় খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। একসঙ্গে বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভাল। আর গভীর রাত পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করলেও চেষ্টা করুন ১২ টার মধ্যেই রাতের খাবার খেয়ে নিতে। সম্ভব হলে ফুটপাথের খাবার এড়িয়ে চলুন।
পর্যাপ্ত ঘুমোন: উৎসবের আনন্দে মেতে উঠলে আমরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে যাই। তবে এমনটা করলে কিন্তু জেনে বুঝেই বিপদ ডেকে আনা। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মাথা যন্ত্রণা থেকে শুরু করে ক্লান্ত হয়ে পড়া, হজমের গোলমাল, আরও বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। আর পুজোর পরেও এ গুলোর রেশ চলতে পারে। তাই রাত জেগে ঘোরাঘুরি করলেও চেষ্টা করুন দিনের বেলায় অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিতে। ঘুম ঠিক হলে এমনিই সব ক্লান্তি ধুয়ে–মুছে যাবে।
মদ্যপানের সময়ে সজাগ থাকুন: পুজোর দিনগুলোয় মদ্যপান করা অনেকেরই অভ্যাস। উৎসবের আমেজে গা ভাসিয়ে কখনও কখনও মদ্যপানের মাত্রাটা সীমা ছাড়িয়ে যায়। এর ফল কিন্তু মোটেই ভাল হয় না। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে একটানা ঘুমে সমস্যা হয়। তাই ঘুম ভাঙার পরেও ক্লান্তিটা রয়ে যায়। পুজোয় সুস্থ থাকতে তাই মদ্যপানের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
পুজোর ভিড়েও নজর কাড়ার ৭ টোটকা
পুজোর প্যান্ডেল হপিং শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে গরমে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে সবাই। এই অবস্থায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ভিড় আর ঘাম সামলে কেমন করে থাকবেন ঝকঝকে। রইল কয়েকটি অব্যর্থ টিপস। মেনে চললে পুজোর ক’দিন আপনি থাকবেন সকলের চোখে পরম আকর্ষণীয়।
• বেরনোর আগে পাতলা কাপড়ে জড়িয়ে নিন বরফের টুকরো। তার পর সেই বরফের পুঁটলি মুখে ঘষুন। সরাসরি বরফ মুখে না ঘষাই ভাল। কেননা মুখের ত্বক বেশ স্পর্শকাতর। বেশ কিছুক্ষণ মুখে বরফ ঘষার পরে মুখ ধুয়ে নিন। ঘাম অনেক কম হবে। ফ্রেশ দেখাবে।
• স্নান করার সময়ে জলে কয়েকটা নিমপাতা ফেলে দিন। অথবা কয়েক ফোঁটা ওডিকোলন বা গোলাপ জল। দেখবেন স্নানের পরে তরতাজা হয়ে উঠেছেন।
• জলটা বেশি করে খান। অনেকেই এই বিষয়টি অবহেলা করেন। কিন্তু এই গরমে জল পরিমাণ মতো না খেলে শরীর ক্লান্ত দেখাবেই। বেশি জল খেতে ভাল না লাগলে জলের সঙ্গে সঙ্গে ফলের রস বা ডাবের জলও খেতে পারেন। ফ্লুইড শরীরে গেলে শরীর তরতাজা থাকবে।
• যদি দুপুরবেলা বেরতে হয়, খেয়াল রাখুন সূর্যের তাপ যেন সরাসরি মাথায় না লাগে। মেয়েরা মাথায় ওড়না বা স্কার্ফ বেঁধে রাখুন। ছেলেরা টুপি পরে রাখুন।
• চেষ্টা করুন সুতির জামাকাপড় পরতে। বিশেষ করে দিনের বেলায় সাদা বা হাল্কা রংয়ের জামা পরলেই ভাল।
• মেয়েরা ব্যাগে রাখুন ওয়াটার স্প্রে, ওয়েট টিস্যু। ক্লান্ত লাগলেই ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে ওয়াটার স্প্রে করে নিন। সঙ্গে রাখতে পারেন অ্যালোভেরা জেলও। এটাও মুখে মেখে নিলে মুখের ত্বকের জেল্লা ফিরে আসবে।
• যতই সাজুন, চোখে ক্লান্তি ফুটে উঠলে সবকিছুই মাটি। কাজেই এই দিকটায় খেয়াল রাখুন। চায়ের লিকার ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে তুলোয় ভিজিয়ে চোখ বন্ধ করে আস্তে আস্তে বুলিয়ে নিন। তার পর ২০ মিনিট চোখ বন্ধ করে রাখুন। এ বার জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। গোলপ জল দিয়েও চোখ ধুতে পারেন। চোখ সতেজ থাকবে।