সাহিত্যের পাতা
পুণ্যশ্লোক চলে গেলেন নীরবে
- Published on 16/10/2017
- Hits: 600
প্রসূন প্রামানিক
পুণ্য
বাংলা ভাষার পুণ্যশ্লোক চলে গেলেন শূন্যতার দিকে। শ্লোকে ভরপুর অথচ পুণ্য । কজন পাওয়া যায়, এমন? দেখুন এখনও কানে ফোন নিয়ে কথা বলছেন । এমন ফোন-কথা আকিশোরবৃদ্ধ কবিগণ শুনেছেন বহু বহু বহুবার । রেখে গেলেন অক্ষর যারা পবিত্র হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে এই ইচ্ছে নিয়ে - ' কাল সকাল সকাল উঠতে হবে ।'
ঐ দেখুন শেষ আশ্বিনের কালো আকাশে কিছু তারা জ্বলে আছে । কিছুক্ষণ আগে যে সব খই-এরা পথ ঢেকেছিল তারাই কি তারা হয়ে ফুটেছে আকাশে?
তারা সব পুণ্য হোক। খই-চিড়ে-মুড়ি -ভাত আসলে ইহলোক পুণ্য হোক।
আর ঐ পরলোকে কবিতা বাজুক ।
পরলোকে গেলে কবিরা ঈশ্বর হয় । তখন হঠাৎ আবার ফোন আসে। আমরা হকচকিয়ে ফোন ধরি আর শুনতে পায় -
" সব শ্লোক পুণ্য হোক
সব শ্লোক পুণ্য হোক ।"
মহাসত্যের বিপরীতে (পর্ব-৪)
- Published on 16/10/2017
- Hits: 1437
শ্যামল ভট্টাচার্য
মহাসত্যের বিপরীতে
চার. আলেকজান্দ্রার নায়ক
পানচুকের কাছে আলেকজান্দ্রা ডেভিড নীলের লেখা ইংরেজি উপন্যাস ‘টিবেটান টেল অব লভ অ্যান্ড ম্যাজিক’ বইটি দেখে অবাক সার্জের্ন্ট আলোক মিত্র। এই লেখিকার মেয়ে নাকি কয়েকবছর আগে হঠাৎ একদিন লবজাঙ্গ স্টোকডানের সঙ্গে ওদের গ্রামে এসেছিলেন। তিনি মায়ের লেখা উপন্যাসের চরিত্র সন্ধানে বেড়িয়ে তাদের বংশধরদের খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে ছিলিং পানচুক জানবাককে পেয়েছেন। খুশি হয়ে তিনি এই বইটি তাকে উপহার দিয়েছেন। ঠাকুর্দা গরব ও ঠাকুমা দেচমার প্রেমকাহিনী। পানচুক ভাল ইংরেজি জানে না। লবজাঙ্গ স্টোকডান পড়ে পড়ে তাকে গল্প শুনিয়েছে। উপন্যাসের শেষটার সঙ্গে ঠাকুর্দা-ঠাকুমার জীবনের কোনও মিল নেই। মনগড়া গল্প লিখেছেন মহিলা। এসব শুনে আলোকের মনে আগ্রহ জন্মায়। সে পানচুকের কাছে বইটি পড়তে চায়। পানচুক সঙ্গে সঙ্গে ওকে দিয়ে বলে, কিন্তু কাউকে দেবেন না স্যার, কপি নাই তো ! এই বইটা আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য; সম্পদ। সাবধানে পড়বেন।
ফেরোমোন ট্র্যাপ
- Published on 15/10/2017
- Hits: 356
জায়েদ ফরিদ
ফেরোমোন ট্র্যাপ
কয়েক যুগ আগের ঘটনা। বিকেল বেলা প্রায়ই ঢাকার ধানমণ্ডি লেকের পাড় দিয়ে হাঁটি। কোনো কিছু দৃষ্টি এড়ায় না, মাছ ধরা থেকে শুরু করে রাস্তার পাশে চারণ কবিরাজের জড়িবুটি বিক্রি পর্যন্ত। রাস্তার ধার ঘেঁষে লাইন ধরা কিছু কাষ্ঠল গাছ, এক-দেড় মানুষ লম্বা। সে গাছে ঝুলছে বুনো আমড়ার মতো কিছু ফল, রংটা ময়লা সাদা। কৌতূহলবশে কয়েকটা ফল পেড়ে নিলাম, ভেতরটা ঘট ঘট করছে, মনে হলো ফলের ভিতর বীচি আছে। বাড়ি পৌঁছে সেগুলো পুরাতনফুলবাড়িয়া রেলস্টেশনের ধার থেকে কেনা বেতের সুটকেসে ঢুকিয়ে রাখলাম।